তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা - জেনে নিন বিস্তারিত

তরমুজ (Watermelon) হলো  জনপ্রিয় একটি ফল যা গ্রীষ্মকালীন সময়ে খাওয়া হয়ে থাকে। এতে পানির পরিমাণ শতকরা ৯২ শতাংশ। গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে আমরা যখন তৃষ্ণার্ত থাকি তখন আমরা তরমুজকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি তৃষ্ণা নিবারণের একমাত্র উৎস হিসেবে। শুধু যে স্বাদেই অতুলনীয় তা নয় এর পাশাপাশি শরীরের জন্যও উপকার নিয়ে আসে। তবে এর কিছু অপকারও রয়েছে।

ছবি

রমজানে ইফতারের সময় তরমুজ খাওয়া পছন্দ করে না এমন মানুষ খুজে পাওয় দুর্লোভ। সারাদিনের ক্লান্তি ভাব নিমিষেই দূর করে দিতে পারে এই তরমুজ। তবে ক্ষেত্র বিশেষ কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য তরমুজ খাওয়া মোটেও উচিত নয়। এতে তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। নিচে এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

পেজসূচিপত্র: তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা 

তরমুজের উপকারিতা

  1. তরমুজ আমাদের দেহের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে। কেননা এতে প্রায় ৯২ শতাংশ পানি থাকে যা আমাদের দেহের পানি শূন্যতা দূর করতে সক্ষম।
  2. তরমুজ অসংখ্য পুষ্টিগুণে ভরা। যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এর ভালো উৎস হিসেবে তরমুজ কে বিবেচনা করা যায়।
  3. এছাড়াও তরমুজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হৃদরোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  4. যাদের হজমজনিত সমস্যা রয়েছে তাদেরও অনেক উপকার হবে। কেননা তরমুজে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। 
  5. তরমুজে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
  6. এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ।
  7. সাইট্রুলাইন নামক অ্যামাইনো এসিডের উপস্থিতি থাকায় পেশির ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।

তরমুজ এর অপকারিতা

  1. অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে। যার জন্য ডায়রিয়া বা পেটের গ্যাসের সৃষ্টিও হতে পারে।
  2. যাদের শরীরে ডায়াবেটিকস আছে তাদের অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়া বিপদজনক হতে পারে। কারণ এতে প্রাকৃতিকভাবে অনেক চিনি থাকে যা দেহের রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
  3. যাদের কিডনিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদেরকেও তরমুজ খাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে। কেননা তরমুজে থাকা পটাশিয়াম শরীরে জমে গিয়ে হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  4. চুলকানিজনিত সমস্যাও হতে পারে তবে সেই সংখ্যাটা খুবই কম। কেননা খুব অল্প সংখ্যক মানুষেরই তরমুজ খাওয়ার ফলে চুলকানি সমস্যা হয় (চুলকানি ফুসফুরি বা শ্বাসকষ্ট) ।
  5. যাদের পেটে গ্যাস বা পেট ফাঁপার প্রবণতা আছে তারা বেশি তরমুজ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
ছবি


কখন তরমুজ খাওয়া উচিত

  1. প্রচন্ড দাবদাহে শরীরকে ক্লান্তি ভাব দূর করতে ও ঠান্ডা রাখতে সেই সাথে পানি শূন্যতা দূর করতে তরমুজ আদর্শ।
  2. খালি পেটে তরমুজ খাওয়া একদমই উচিত নয়। কেননা এতে পেটে গ্যাস বা অম্বল সৃষ্টি হতে পারে। তাই খাবারের অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা পরে তরমুজ খাওয়া ভালো।
  3. শরীর চর্চার পরে যখন শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় তখন শরীরকে দ্রুত পানির ঘাটতি পূরণ করতে তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ঠিক থাকে।
  4. ঘুমানোর পূর্বে খাওয়া ভালো। কেননা রাতে তরমুজ খেলে পেটে গ্যাস হতে পারে অথবা বারবার প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে। তাই সন্ধ্যার আগেই খাওয়া উত্তম।











এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

BD Health Net এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url