এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় - গুরত্বপূর্ণ পরামর্শ

এলার্জি বা চুলকানি গরমের দিনে আমাদের বেশিরভাগ মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গি  হয়ে দাড়াঁয় গ্রীষ্মকালে যখন আমরা বাহিরে বের হই তখন আমাদের ঘর্মাক্ত শরীরে নানা ধরনের ধুলাবালি লেগে যায়। সেখান থেকেই জীবাণু তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে আমাদের শরীরে এলার্জি বা চুলকানির সৃষ্টি করে। 

ছবি


তাই আমরা যদি অ্যালার্জিজনিত চুলকানি দূর করতে চাই তবে কিছু ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করতে পারলে খুব দ্রুতই চুলকানি বা এলার্জি দূর হয়ে যাবে। নিচে সেগুলো ক্রমান্বয়ে উল্লেখ করা হলো।

পেজসূচিপত্র: এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় 

ঠান্ডা পানির সেঁক

এলার্জি বা চুলকানিজনিত সমস্যা অনেকাংশেই কমে যায় যদি ঠান্ডা পানি দিয়ে সেখানে সেঁক নেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে কিছুক্ষণ ধরে ভেজা সুতি কাপড় ঠান্ডা পানিতে বা বরফের ভিজিয়ে উক্ত স্থানে প্রয়োগ করলে প্রদাহ কমে যায় এবং স্বস্তি অনুভূত হয়।

লেবুর রস প্রয়োগ

লেবুর রস চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। একটি লেবু থেকে সমস্ত রস সংগ্রহ করে সেখানে মুগডালের বেসন পরিমাণমত, সামান্য পরিমাণ গ্লিসারিন এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলেন ভিতরে থাকা তরল পদার্থ  মিশিয়ে চুলকানি যুক্ত জায়গায় লাগানো যেতে পারে। এতে চুলকানি সেরে যাবে। তবে অতি সংবেদনশীল ত্বকে লেবু ব্যবহার করলে চুলকানি বেড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই অতি সংবেদনশীল ত্বকে লেবু ব্যবহার হতে বিরত থাকতে হবে।

তুলসি পাতার ব্যবহার

তুলসী পাতায় এন্টি ইনফ্লামেটরি ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। যা আমাদের এলার্জি বা চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে যা করতে হবে তা হলো তুলসী পাতার ডগা থেঁতো করে চুলকানির জায়গায় লাগাতে হবে। এছাড়াও তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলকানি যুক্ত ত্বকে লাগানো যেতে পারে।

খাদ্যাভ্যাস

দৈনন্দিন খাবারের আইটেমে কিছু তিতা জাতীয় খাদ্য যোগ করা যেতে পারে। যেমন করলা বা নিম পাতা ভাজা। এগুলো শরীরের অন্যান্য রোগেরও মহা ঔষধ।

বেকিং সোডার স্নান

আমাদের অনেকের কাছেই হয়তোবা এটি অজানা। তবে এলার্জি বা চুলকানি দূর করতে এটি অনেকটা আমাদেরকে সাহায্য করবে। সেজন্য এক বালতি কুসুম গরম পানিতে আধা কাপ বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করতে হবে। এই পন্থা অবলম্বণ করতে পারলে চুলকানি ও জ্বালা কমে যাবে। 

ছবি


মধুর ব্যবহার

মধুকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে চুলকানি দূর করা যায়। মধু পরিবেশে উপস্থিত অ্যালার্জেনের সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও মধুতে থাকা প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য চুলকানির ফুসকুড়ি কমায়।

অ্যালোভেরা জেল 

চুলকানি বা এলার্জি দূর করতে চাইলে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। সেটির জন্য তাজা অ্যালোভেরা পাতার জেল বের করে চুলকানির জায়গায় লাগালে ঠান্ডা ভাব দেয় এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।

দুধ ও জলে ভেজানো তুলা

এলার্জি বা চুলকানি দূর করতে চাইলে দুধে ভেজানো তুলা উক্ত স্থানে ১০-১২ মিনিট রেখে দিতে হবে। এটি দ্রুত চুলকানি কমাতে সহায়তা করবে।

নারকেল তেলের ব্যবহার

আমরা জানি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বলা হয় নারকেল তেলকে। এটি অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। নানা ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান বিদ্যমাণ থাকায় কোন ধরনের বিপরিত প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নারিকেল তেল কে চুলকানি যুক্ত স্থানে মালিশ করলে প্রায় অধিকাংশ চুলকানির জ্বালা পোড়া কমে যায়।

পরিশেষে স্বাস্থ্যই সম্পদ, আর এলার্জি মুক্ত জীবন মানে আরো ভালো দিন। আপনার সুস্থতা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা ও সঠিক পরামর্শ অনুসরণ করুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

BD Health Net এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url